নিজস্ব প্রতিবেদক
মিরসরাইয়ে হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার (০৮ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় মিরসরাই গণ পাঠাগারের উদ্যোগে ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের সহযোগীতায় আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসের কার্যসুচি আরম্ভ হয়। একই দিন রাতে লোকসংগীতের মাধ্যমে দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
মুক্তিযোদ্ধা ও মিরসরাই গণ পাঠাগারের সভাপতি ডাঃ জামসেদ আলম জানান, ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশ হানাদার মুক্ত হলেও চট্টগ্রামের মিরসরাই হানাদার মুক্ত হয় ১৯৭১ সালের ০৮ ডিসেম্বর। দিনটিকে স্মরনীয় করে রাখতে মিরসরাই গণ পাঠাগার দুই দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। গত ০৭ ডিসেম্বর রাতে বসে হারিয়ে যাওয়া পুঁথি পাঠের আসর। আসরে পুঁথি পাঠ করে শুনান বড়তাকিয়া এলাকার ষাটোর্ধ সৈয়দ মাঝি ও মজিবুল হক। গণ পাঠাগার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পুঁথি পাঠের আসরে আসা উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াছমিন আক্তার কাকলী ও মিরসরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আফসার বলেন, এই আসরে আসতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি।
৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় আনন্দ শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। গণ পাঠাগারের উদ্যোগে শোভাযাত্রায় অংশনেন উপজেলা চেয়ারম্যান ইয়াছামিন আক্তার কাকলী, গণ পাঠাগারের সভাপতি ডাঃ জামসেদ আলম, মিরসরাই বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল আফসার, মারুফ মডেল প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, সাবেক চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম আজাদ, মিরসরাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি শারফুদ্দীন কাশ্মীর, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি নয়ন ধূম ও সদস্যরা, বিভিন্ন স্তরের মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, ছাত্র, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
শোভাযাত্রা শেষে গণ পাঠাগার কার্যালয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল কবিরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি শোভাযাত্রা মিরসরাই উপজেলা ক্যাম্পাস থেকে মীর কমিউনিটি সেন্টারে গিয়ে শেষ ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।###